সেবা খাত

শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন, নতুন হাসপাতাল হচ্ছে মোকামতলায়, নেপথ্যে বিএনপির ত্যাগী নেতা।

বগুড়া প্রতিনিধি:

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় স্বাস্থ্যসেবা খাতে শুরু হয়েছে একসাথে তিনটি সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া। এর মধ্যে উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ, একটি নতুন সরকারি অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ এবং উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান মোকামতলায় ২০ শয্যার একটি নতুন সরকারি হাসপাতাল নির্মাণ।

শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মীর শাহে আলমের আন্তরিক প্রচেষ্টায় লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে এসব প্রকল্পের অনুমোদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। চলতি বছরের গত ২৩ জুলাই মীর শাহে আলম প্রদত্ত আবেদনপত্র সুপারিশসহ ফরোয়ার্ডিং করেছেন বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান। তার প্রেক্ষিতেই অনুমোদন প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি দীর্ঘদিন ধরেই নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে পরিচালিত হয়ে আসছে। শয্যার স্বল্পতা, জরুরি ও প্রসূতি সেবায় ঘাটতিসহ রোগী পরিবহনের জন্য অ্যাম্বুলেন্স সংকটই ছিল অনেকটা জনদুর্ভোগের মত। দুর্ঘটনা ও জরুরি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে নতুন অ্যাম্বুলেন্স সাধারন মানুষের বহুদিনের প্রত্যাশা। প্রত্যাশা পুরনের পাশাপাশি মিলবে দ্রুত রোগী পরিবহনের সুবিধা। যার সুফল ভোগ করবে গ্রামীণ এলাকার সাধারন মানুষ।

এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে শিবগঞ্জ উপজেলার চিকিৎসা অবকাঠামো ও জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট অনেকে।

অপরদিকে, উপজেলার মোকামতলা এলাকায় ২০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগকে সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন এলাকাবাসী। এই অঞ্চলের কয়েকটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ সরকারি চিকিৎসাসেবা থেকে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত ছিলেন।

এ বিষয়ে মীর শাহে আলম বলেন, জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি সবসময় সচেষ্ট থেকেছি। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে শিবগঞ্জের স্বাস্থ্য খাতে একটি দৃশ্যমান অগ্রগতি আসবে। স্থানীয় এলাকাবাসীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া জন প্রতিনিধি হিসেবে আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। যা মানুষের মৌলিক অধিকার। 

এদিকে এই উদ্যোগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং মীর শাহে আলমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন  ওই সর্বস্তরের সাধারন মানুষ। তারা মনে করেন এমন উন্নয়ন যদি অব্যাহত থাকে তাহলে ভবিষ্যতে আগামি প্রযন্ম এর সুবিধা ভোগ করতে পারবে। এমন উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button